News:

             ১৯৯২ সনের মাঝামাঝি সময়ে সাকুয়া-ভাটিয়া এলাকার এক দল কলেজ পড়ুয়া তরূণ শিক্ষার্থী পরস্পরের মধ্যে আলোচনায় অভিমত ব্যাক্ত করে যে পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সেখানকার আর্থ সামাজিক অবস্থা অত্র এলাকার চাইতে উন্নত। বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে অত্র এলাকা খুবই অনগ্রসর। অত্র এলাকায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করতে পারলে নারী শিক্ষার সূযোগ সহ ছেলেদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এলাকার ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হলে এই পশ্চাৎপদ এলাকার ইতিবাচক আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন সাধিত হবে। এ চিন্তা থেকেই এলাকার তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোঃ শরিফুল ইসলাম (সবুর) অত্র এলাকায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করে। পরে বিষয়টি নিয়ে অত্র এলাকায় বসবাসকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব খুরশেদ উদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তাঁর পরামর্শেই তরুণ শিক্ষার্থীগণ এলাকার সামাজিক নেতৃবৃন্দ সহ ঢাকায় বসবাসরত অত্র এলাকার বিদ্ধান ও গুণী  ব্যাক্তিবর্গের সঙ্গেঁ যোগাযোগ করে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তাদের সমর্থন আদায়ে সক্ষম হন। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব শফিকুল ইসলাম বিদ্যালয়ের প্রাঃ প্রধান শিক্ষক জনাব খুরশেদ উদ্দিনকে নিয়ে ঢাকায় জনাব ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজ উদ্দিন ও প্রাক্তব বোর্ড কন্টোলার জনাব শেখ মোহাম্মদ সাহেবের বাসায় সাক্ষাৎ করে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে ঢাকাস্থ অত্র এলাকার বিদ্ধান ও গুণী ব্যাক্তিবর্গের সমর্থন ও আর্থিক সহযোগীতার আশ্বাস প্রাপ্ত হন। এর প্রেক্ষিতে তরুণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ০৩/১০/১৯৯২ তারিখে ভাটিয়া বাজারে এলাবাসির একটি সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। উক্ত সাধারণ সভায় অত্র এলাকায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্থারিত আলোচনা পর্যালোচনান্তে অত্র এলাকায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। D‡jøwLZ mvaviY mfvq mfvcwZZ¡ K‡ib †`û›`v BDwc চেয়ারম্যান জনাব সিরাজুল ইসলাম। উল্লেখিত তারিখের সভায় বিদ্যালয় স্থাপনের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বারঘরিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আবু সাঈদ সরকারকে সভাপতি ও দেহুন্দা ইউপির প্রাঃ চেয়ারম্যান জনাব মোঃ খুরশেদ উদ্দিনকে সম্পাদক করে একটি ষ্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়। ১৫/০২/১৯৯২ তারিখে ষ্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ষ্টিয়ারিং কমিটির প্রত্যেক সদস্যের ১০০/- টাকা চাঁদার ভিত্তিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক তহবিল গঠন করা হয়। ষ্টিয়ারিং কমিটির মাধ্যমে কোন ব্যাক্তির নামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোন আগ্রহি ব্যাক্তি না পাওয়াতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাটিয়া মৌজায় কিশোরগঞ্জ-চামড়া বন্দর মহা সড়ক সংলগ্ন চৌটান নামক স্থানে বিদ্যালয় স্থাপন ও বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় ভাটিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পরবর্তী সময়ে ষ্টিয়ারিং কমিটির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জমি সংগ্রহ ও আসবাব পত্র তৈরী, বিদ্যালয় ভবন নির্মানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাবতীয় কার্য্যাদি সম্পন্ন করা হয়। ২২/১২/১৯৯২ তারিখে বিধি মোতাবেক নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ০৭ জন সহকারী শিক্ষক, ০১ জন অফিস সহকারী ও ০২ জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ১৯৯৩ সনের জানুয়ারী মাসে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ভাটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৭.০০ টা থেকে ৯.০০ টা পর্যন্ত শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ০২/০১/১৯৯৩ তারিখ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার তারিখ ঘোষনা করা হয়। পরবর্তী সময়ে বর্তমান স্থানে জনাব এম. সাইদুজ্জামান, সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা সচিব তাঁর নগদ এককালীন ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা এবং জনাব ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজ উদ্দিন সাহেবের নগদ এককালীন ১,৫০,০০০/-(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকায় ১০০ ফুট × ২২ ফুট একটি আধাপাকা টিনের চালাঘর নির্মান করে বিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য ময়মনwmsn আঞ্চলিক উপ-পরিচালক বরাবরে আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৭/১০/১৯৯৪ তারিখে বিদ্যালয়টি জুনিয়র বিদ্যালয় হিসাবে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তী সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক ০১/০১/১৯৯৫ তারিখ হতে এমপিও ভূক্ত করা হয়। ০১/০১/১৯৯৬ তারিখ হতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা কর্তৃক ৯ম শ্রেণির একাডেমিক স্বীকৃতি প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে ১৯৯৮ সনে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ প্রথমবার এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে সফলতা লাভ করলে ০১/০১/১৯৯৯ তারিখে বিদ্যালয়টি উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা কর্তৃক প্রাথমিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং ২০০০-২০০১ আর্থিক বছর হতে উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে আর্থিক স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে একজন তারুণ্যদীপ্ত প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে নির্বাচিত সুদক্ষ ম্যানেজিং কমিটির পরিচালনায় ৬০% নারী শিক্ষার্থীসহ ১২৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে এবং বিদ্যালয়টি অত্র এলাকায় শিক্ষার আলো বিস্তারে ও আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।